Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
কি করে দিঘী অভিনেত্রী হয়ে উঠলেন কে ছিলেন উনার জীবনের অনুপ্রেরণা, আপনি কি জানেন কত অল্প বয়সে দিঘি অভিনয় জগতে পা রাখলেন এবং কার থেকে শিখেছিলেন তিনি অভিনয়, কে ছিলেন উনার জীবনের অনুপ্রেরণা?কাকে সবচেয়ে বেশি মিস করেন আসুন জেনে নেই
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি সবার কাছে দীঘি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল।কাবুলিওয়ালা (2006), এক টাকা বউ (2008), চাচ্চু আমার চাচ্চু (2010) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
দীঘির জন্ম সংস্কৃতিমনা পরিবারে। তার বাবা শুভ্রতো এবং মা দোয়েল ছিলেন স্থানীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুতরাং পরিবারের সাপোর্ট ছিল উনার প্রধান চাবিকাঠি।তিনি মাত্র তিন বছর বয়সে গ্রামীণফোনের জন্য একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিয়ে ছোট পর্দায় কাজ করেন এবং দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। ছয় বছর বয়সে “কাবুলিওয়ালা” ছবি সুপারহিট মুভি।
দিঘীর জীবনী সবার আগ্রহের বিষয়। আজ আমরা দিঘীর উচ্চতা, বয়স, বান্ধবী, পরিবার, শিক্ষা, পছন্দ-অপছন্দ, ক্যারিয়ার, উপার্জন ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নেব। এক কথায় তিনি বাংলাদেশের উঠতি তারকাদের একজন। শুধু নিজের দেশেই নয় সারা বিশ্বে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেই তার সম্পর্কে বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।দিঘির উচ্চতা হচ্ছে 5 ফুট 4 ইঞ্চি এবং ওজন হয়েছে 52 কেজি তিনি স্ট্যামফোর্ড স্কুল এবং কলেজ থেকে পড়াশোনা করছেন।বাবার নাম হচ্ছে সুব্রত এবং মায়ের নাম হচ্ছে ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল।
জায়গা বানিয়ে নিলেন। 2006 সালে তিনি “বেস্ট ফিমেল ডেব্যু” হিসেবে মনোনীত হন। এবং 3 বার শিশুশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় ফিল্ম পুরস্কার পান। তিনি বলেছেন যে অভিনয় জগতে ইনি নিজের ছাপ রেখে যাবেন।
শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি অভিনয় দুনিয়াতে পা রেখেছিলেন, 2006 সালে নির্দেশক কাজী হায়াৎ, ফ ই মানিক এদের নেতৃত্বে “ কাবুলিওয়ালা”, “চাচ্চু” এবং “দাদীমা” তে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।
2007 সালে নির্দেশক ফ ই মানিক, শফিকুল ইসলাম ভাইরাবি, হাসিবুল ইসলাম মিজান এর নেতৃত্বে “ সাজঘর”,“অবুঝ শিশু” এবং “কপাল” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।2008 সালে নির্দেশক ইলিয়াস কাঞ্চন, পি এ কাজল এর নেতৃত্বে “বাবা আমার বাবা” এবং “এক টাকার বউ” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। 2009 সালে নির্দেশক পি এ কাজল, শাহিন সুমন এর নেতৃত্বে “পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুন”, “পাঁচ টাকার প্রেম” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।
2010 সালে নির্দেশক মনতাজুর রহমান আকবর, ফ ই মানিক, শাহাদাত হোসাইন লিটন এর নেতৃত্বে “রিকশাওয়ালার ছেলে”, “চাচ্চু আমার চাচ্চু”, “জীবন মরণের সাথী”, “টপ হিরো” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।
2011 সালে নির্দেশক মনতাজুর রহমান আকবর, ম ব মানিক এর নেতৃত্বে “ছোট্ট সংসার”, “তোর কারণে বেঁচে আছি” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।2012 সালে নির্দেশক সোহানুর রহমান সোহান এর নেতৃত্বে “ড স্পিড” এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন।2015 সালে নির্দেশক খোরশেদ আলম খসরু, জাহিদ হোসাইন এর নেতৃত্বে “লীলামন্থন” এ অভিনয় করেন।
তারপর কিছু বছর ব্রেক নেওয়ার পর 2021 সালে একজন পরিনত অভিনেত্রী হিসেবেদেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সেলিম খান, শামীম আহমেদ রনি এর নেতৃত্বে তুমি আছো তুমি নেই (ত্ব), টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভা (শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব) এ অভিনয় করেন।এবং “বন্ধুবান্ধব” অভিনয় করছেন।
দীঘি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং ইউটিউবে ছোট ছোট রিল এবং শর্টস পোস্ট করে থাকেন এবং তাতে দেখতে মজা বেশ লাগে। এর “এইটুকু মন “ টিকটক রিল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
দিঘি নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে খুবই সচেতন এবং পুরো মনোযোগ এখন অভিনয় জগতে এখন পর্যন্ত ওর বয়ফ্রেন্ড এবং অ্যাফেয়ার্স নিয়ে কোন গুজব রটেনি।
ধামাকা, যোগ্যের গান, একাত্তরের ইতিহাস এবং পিয়া রে নামের ছবি তে তিনি অভিনয় করবেন। এছাড়া ‘শেষ চিঠি’ নামের একটি ওয়েব ছবির শুটিং শেষ করার অপেক্ষায় আছেন। সুমন ধর পরিচালিত ছবিটিতে যশ রোহানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন। এটি যৌথভাবে লিখেছেন ববি রহমান ও সুমন ধর।
দিঘি জানালেন যে সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘনিয়ে আসলে তিনি ভয় পান তা ভেবে যে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কি হবে।তিনি মা দোয়েল কে খুব মিস করেন। দিঘীর মা দোয়েলর প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালে। সেই সিনেমার তিনজন- মা দোয়েল, পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম এবং নায়ক রাজ্জাক এখন বেঁচে নেই।
যেহেতু তিনি মায়ের কাছ থেকে অভিনয় শিখেছেন তাই তাকে খুব মিস করেন। পরে ওর বাবা সুব্রত যিনি নিজেও একজন অভিনেতা ছিলেন দিঘি কে অভিনয়ে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন ছবিগুলো মুক্তি পাওয়ার পর সিনেমা হলে যাবেন তিনি বুঝতে পারেন কেমন সিনেমায় অভিনয় করেছেন।”